কিশোরগঞ্জের  কুলিয়ারচরে ৬ বছরের শিশুসহ ৩ শিশুর বিরুদ্ধে মামলা!

প্রকাশিত: ১:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২৪

 

, এম এ হালিম, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ

মাদ্রাসা পড়ুয়া,৬ বছরের  শিশু আবু সালমান, উদয়ন কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র আবু হুরাইরা (১৩) ও ইয়াছিন মিয়া (১৩)   বুঝেইনা মামলা কি?  অথচ প্রতিপক্ষরা ৩ অবুঝ  শিশুকে বাড়ি-,ঘর ভাংচুর লুটপাট ও  মারামারির মামলায়  অভিযুক্ত  করেছে।  এ ঘটনায়  মানবাধিকার সংস্থার নেতা সহ এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের নোয়াগাও বেপারী পাড়া গ্রামের মোঃ আবুল হাসেম মাষ্টার বাদী হয়ে  একই গ্রামের প্রতিবেশী  এ ৩ শিশুর  বিরুদ্ধে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল গ্রহণকারী আদালত নং- ২ এ মামলাটি দায়ের করেন।

জানা যায়, আবুল হাসেমের সাথে প্রতিবেশী আ. ছামাদের ছেলে তমিজ উদ্দিনের জায়গা সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ও মামলা চলে আসছে। বিরোধের জের ধরে মোঃ আবুল হাসেম বাদী হয়ে ৬ বছরের শিশু আবু সালমানসহ তিন শিশুর বিরুদ্ধে আদালতে মারামারি, ভাংচুর ও চুরির অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তমিজ উদ্দিনসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করা হয়। মামলার আসামীদের মধ্যে উপজেলার নোয়াগাঁও বেপারী পাড়া সিরাজুম মুনিরা মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের ছাত্র আবু সালমান (৬), উদয়ন কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র আবু হুরাইরা (১৩) ও ইয়াছিন মিয়া (১৩) সহ একই পরিবারের ২২ জনকে আসামী করা হয়েছে।

এই ঘটনায় সালমানের পিতা মনির মিয়া বলেন,

জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৮ টার সময় ঘটনা দেখিয়ে মামলায় আমার ৬ বছরের শিশু সন্তানকে আসামী করা হয়েছে। রাতে সালমান একা ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। তাকেও করা হয়েছে মামলার আসামী!

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তমিজ উদ্দিন জানান, গত ৪০ বছর ধরে  আবুল হাসিম মাষ্টারের সাথে জমি নিয়ে  বিরোধ  চলছে। তারা আমাদের জমি দখলে রেখেছে। এছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে  এ পর্যন্ত ৪ টি মামলা দায়ের করেছে ।  আমরা ২ টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছি। বতর্মানে নতুন করে আমাদের মাদ্রাসা ও স্কুল পড়ুয়া ৩ শিশু কে মামলায় আসামি  করা হয়েছে । তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবী সরকার যেন তদন্ত করে সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেয় ।

এ বিষয়ে আসক ফাউন্ডেশনের  নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ ও ব্র্যাক্ষণ বাড়িয়া জোনাল অফিসের সভাপতি ডাঃ আবদুল লতিফ আরপিসি জানান,শিশুদেরকে মামলায়  আসামী করা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং  এতে শিশুদের  মানসিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি  লেখাপড়ায়  বিঘ্ন ঘটবে। তাই মামলা থেকে শিশুদের কে অব্যাহতি দেয়ার আহবান জানান সরকারের  প্রতি।

এ বিষয়ে আবুল হাসেমের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিলে ও তিনি রিসিভ করেননি।  এমনকি তার বাড়িতে গিয়ে ও তাকে পাওয়া যায়নি।