গোটা গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া যেন তাদের বাসস্ট্যান্ড, বেপরোয়া পরিবহণ চাঁদাবাজরা দৈনিক লাল সবুজের দেশ দৈনিক লাল সবুজের দেশ প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫ Oplus_131072 রিয়াজ আহমেদ : রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র জনবহুল গুলিস্তানের লোকসমাগম ঘিরে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে চাঁদাবাজরা। ফুটপাথ দখল থেকে শুরু করে পরিবহণ খাতকে মোক্ষম চাঁদাবাজির ক্ষেত্র হিসাবে পরিণত করছে তারা। জনসমাগম এলাকা গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ায় সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটর পশ্চিম-দক্ষিণ দিকে গড়ে ওঠেছে অবৈধ টেম্পো স্ট্যান্ড। সেখানকার চলাচলরত গাড়িগুলোর নেই ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। গত ২০ বছর ধরে এসব গাড়িগুলো চলাচল করলেও দেখার কেউ নেই। এদিকে চাঁদাবাজরা চলাচলরত শতাধিক অবৈধ অটোটেম্পু থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন পর্যায়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা চাঁদা আদায় করছে। ওপেন সিক্রেট এই চাঁদাবাজির দ্ধায়ভার বহণ করছেন যাত্রীরা। ১০ টাকার ভাড়ার জায়গায় তাদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ১৫ টাকা। এছাড়া সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটর পশ্চিম দক্ষিণ পাশে রাস্তা দখল করে দোকান বসিয়েছে চাঁদাবাজরা। এতে দিনভর যানজট লেগেই থাকে। যার কারণে গাড়ি চলাচল ও পথচারীদের চলাচলের ব্যাঘাত ঘটে। আর চাঁদাবাজরা প্রতিটি দোকান প্রতি ১০০ – ৫০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এদিকে গুলিস্তান- মাওয়া রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনের মালিকরা, মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদাবাজ নেতাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। গুলিস্তান- মাওয়া, ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনকে ঘিরে রমরমা চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মালিক আক্ষেপ করে জানান, ব্যবসা করতে এসে তারা এখন চাঁদাবাজদের কাছে যিম্মি হয়ে পড়েছেন। কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে একটি সিন্ডিকেট জবরদস্তিভাবে এ চাঁদা আদায় করছে। অভিযোগ মতে, প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা নিচ্ছেন সিন্ডিকেটরা। বর্তমানে বেশ কয়েকটি পরিবহন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চলাচল করে। এগুলো হলো গোল্ডেন লাইন, হানিফ পরিবহন, ইমাদ পরিবহন, দোলা এক্সপ্রেস, ওয়েলকাম এক্সপ্রেস, ফালগুনী এক্সপ্রেস, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, কোটালী পাড়া এক্সপ্রেস ইত্যাদি। এছাড়া ইলিশ, গাংচিল, আনন্দ, ডিএম,আপন, চন্দ্রা ও গ্রেট বিক্রমপুর। এসব প্রতিষ্ঠানের অন্তত শতাধিক গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু এসব গাড়ির জন্য নির্ধারিত কোন টার্মিনাল নেই তবে কাউন্টার আছে কাউন্টারের লোকেরাই চাঁদা আদায় করছে বলে জানাযায়। গোটা গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া যেন তাদের বাসস্ট্যান্ড। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং যাত্রী উঠানাম চলছে হরহামেশা। এতে করে ব্যস্ততম এলাকার অবস্থা আরো নাজুক হলেও দেখার দায়িত্বে নেই কেউ। SHARES অপরাধ বিষয়: