ধানমন্ডি ৩২ বেসমেন্টে পাওয়া স্কুলছাত্রীর ড্রেসে ঘটনার নতুন মোড়।

প্রকাশিত: ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫
Oplus_131072

ধানমন্ডি ৩২ বেসমেন্টে পাওয়া স্কুলছাত্রীর ড্রেসে ঘটনার নতুন মোড়।

অপরাধ জগত :

ধানমন্ডি ৩২ এর ‘বেসমেন্টে কুড়িয়ে পাওয়া স্কুল ড্রেস’ নিয়ে ঘটনার নতুন মোড় নিয়েছে। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আসিফ সৈকত তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে শেয়ার করেছেন। সেখানে ২০১৮ সালে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ অফিসে ৪ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সেসময়ে আল জাজিরার একটি সাক্ষাৎকারে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম কথা বলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল।

২০১৮ সালে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ অফিসে চারজন মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল বলে খোদ শহীদুল আলম আল জাজিরাকে বলেছিলেন। এই ইন্টারভিউ দেওয়ার পর শহীদুল আলমকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে মারধর করে তাকে রক্তাক্তও করা হয়েছিল।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, খটকা তখনই লেগেছিল। নিউজটা যদি মিথ্যাই হতো, আওয়ামী লীগ বিবৃতি দিয়েই কাজ শেষ করতো। শহিদুল আলমের মতো এত বড় মাপের একজন মানুষের প্রতি এতটা কঠোর হওয়ার কথা ছিল।

শহীদুল আলমকে ধরার পরেই এই বিষয়ে টুঁ শব্দ করার সাহস আর কারও হয়নি। তদন্ত তো দূরের কথা। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেমে গিয়েছিল। কিন্তু এই ধর্ষণের কোনো তদন্ত বা কোনো ফলোআপ আর আসেনি। যাইহোক, ধানমন্ডি ৩২-এর নিচে যে বেজমেন্ট পাওয়া গেছে, সেখানে মেয়েদের স্কুল ড্রেস আর জুতা পাওয়া গেছে। এর অর্থ হলো, খুব সম্ভবত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে না, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এই পাশবিকতা চালানো হয়েছিল।

পোস্টে বলা হয়, ৬ মাস পর মানুষের এই ধানমন্ডি ৩২ ভেঙে দেওয়া হয়তো আল্লাহরই কোনো পরিকল্পনা ছিল। হয়তো নাম না জানা ওই মজলুম মেয়েগুলোর দোয়া আল্লাহতাআলা শুনেছেন। যত দ্রুত সম্ভব এই স্কুল ড্রেসগুলোর ফরেনসিক করা হোক। নাম পরিচয় বের করে এই মেয়েগুলোর পরিবারকেও যেন শহীদ পরিবার হিসেবে গণ্য করা হয়। আল্লাহ যেন শেখ পরিবারের মতো এমন ভয়ংকর অভিশাপ এই পৃথিবীর কোনো দেশেই আর কোনোদিন না দেন। নিরাপদ সড়ক চাওয়ার দাবি করতে গিয়ে পৃথিবীর আর কোনো মেয়েকে যেন এই পরিণতি ভোগ করতে না হয়।