নওগাঁয় ৩২ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক সম্রাজ্ঞী অর্চনা বিশ্বাস কে আটক করে ডিবি পুলিশ

প্রকাশিত: ৬:৫৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২৫

নওগাঁঃখোরশেদ আলম

নওগাঁ সদর উপজেলার চকদেব নুনিয়াপট্টি এলাকায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ভারতীয় ৩২ বোতল ফেন্সিডিলসহ কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী শ্রীমতি অর্চনা বিশ্বাসকে আটক করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে জানানো হয়, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় জেলা পুলিশ সুপার মো. শফিউল সারোয়ার বিপিএম-এর দিকনির্দেশনায়, ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ মান্নানের তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক মো. সোহেল হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে চকদেব নুনিয়াপট্টি এলাকার অর্চনা বিশ্বাসের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ঘরের খাটের নিচে লুকানো অবস্থায় ৩২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয় এবং তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে অর্চনা বিশ্বাস মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এলাকার নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ফেন্সিডিল ছাড়াও মাদক ব্যবসার কিছু প্রমাণও পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় নওগাঁ সদর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হচ্ছে। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃত অর্চনা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এর আগেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ ছিল।
অভিযানের নেতৃত্বদানকারী পুলিশ পরিদর্শক মো. সোহেল হোসেন বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাচালানকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। যারা এ ধরনের অপরাধে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চকদেব নুনিয়াপট্টি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ডিবি পুলিশের এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন। তারা জানান, অর্চনা বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ভয়ে কেউ অভিযোগ করতে সাহস পেতেন না। তবে ডিবি পুলিশের এমন সাহসী পদক্ষেপে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শফিউল সারোয়ার জানিয়েছেন, নওগাঁ জেলায় মাদক নির্মূলের জন্য বিশেষ কর্মসূচি চলছে। তিনি বলেন, “মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা নওগাঁকে মাদকমুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।”
এ ধরনের অভিযানের মাধ্যমে মাদকব্যবসার চক্র ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগকে আরও জোরদার করার প্রত্যাশা করেছে স্থানীয়রা।