নওগাঁঃখোরশেদ আলম
নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের আইওরপাড়া গ্রামে, মাদ্রাসার জমিকে কেন্দ্র করে ৫টি দোকানে আগুন ও লুটপাট এতে ক্ষয়ক্ষতি হয় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। গেল বুধবার রাত ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘটনার আগে থানা থেকে পুলিশ এসেছিল, কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার সাথে সাথেই, আইওরপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানার, নির্দেশে, গোলাম সাকলাইন চারু, লুৎফর রহমান,তোফাজ্জল হোসেন,বল্লেক কাজী,কাবিল সরকার,সোহেল সরকার, সহ তাদের দলবল নিয়ে আসে।এর পর বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে, তালা ভেঙ্গে দোকানগুলো লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে তাণ্ডব চালায় এবং মুরগির খামার,মুদিখানার দোকান, বিকাশ,ফ্লাস্কির দোকান সহ ৫ টি দোকানে লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে, এছাড়াও মার্কেটের মালিকের বাড়িতেও হামলা চালায়।
এ সময় মান্দা থানায় ফোন দিয়ে সহায়তা চাইলে, ওসি মনছুর রহমান বলেন এত রাতে আমি পুলিশ পাঠাতে পারবো না থানায় আগে অভিযোগ করেন।
সারাদিন পার হয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে কোন পুলিশ পরিদর্শন করতে যান নি, ভুক্তভোগীরা বলেন, এত বড় ঘটনার পর যদি পুলিশ না আসে তাহলে পুলিশ আসবে কখন আর আমরা মরে গেলে কি তারপরে আমাদের লাশ এসে নিয়ে যেত পুলিশ?
অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে সাদেকুল ইসলাম সেলিমের মুদি দোকান ১৬ লক্ষ, রমজানের ফটোশপ দোকান ৮ লক্ষ, মামুন রশিদের পোল্ট্রি দোকান ৫ লক্ষ, করিমের মুদি দোকান ৪ লক্ষ, রানার চা-ইস্টল ৬০ হাজার, সব মিলে ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়।
এই বিষয়ে মান্দা থানা ওসি মনসুর রহমানের সাক্ষাৎকার চাইলে তিনি বলেন আপনারা চলে যান ফোনে সাক্ষাৎকার দিব, তাই তার সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত ছয় জন মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি আছেন, তারা বলছেন আমরা তাদের কোন ক্ষয়ক্ষতি করিনি ওরাই উল্টো আমাদেরকে অতর্কিত হামলা করে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, অভিযুক্ত ভারশোঁ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সাকলাইন চারু বলেন,
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল গফুর, মাদ্রাসার নামে জায়গাটি দান করেন, মাদ্রাসাটির নামকরণ করা হয়।আইওরপাড়া-চৌয়াপুর আব্দুল গফুর ইসলামীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা। দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসাটি বন্ধ থাকায়, আইওরপাড়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ তাদের লোকজন জায়গাটি দখল করতে আসে এটিকে কেন্দ্র করে, নিয়ামতপুর উপজেলার সীমন্তবর্তী গ্রাম বাসীদের, দোকান লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ পরে অথচ তারা এই মাদ্রাসার সাথে স্কুলের সাথে জড়িত নয়।সুত্র মতে জানা যায় মুরগির খামারে ৩০০ উপরে মুরগি সহ কয়েক হাজার ডিম ছিল, লুটপাটের পরে সেখানে প্রায় ৫০/৬০ মিলে রাতে পিকনিক খায়।পরদিন ঐ এলাকার কাহাকেও পেলে তাকে উত্তম, মধ্যম মারপিট করে এলাকা ছাড়া করে। বর্তমান উক্ত এলাকায় মহিলা ও বাচ্চা ছাড়া কোন বড় পুরুষ মানুষ খুঁজে পা-ওয়া যাবে না। এই বিষয়ে ওসি মান্দা কে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি আমি দেখছি।