বরগুনার তালতলীতে ধানক্ষেতে ইঁদুর মারার ফাঁদে প্রাণ গেলো কৃষকের

প্রকাশিত: ৪:০৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৫

 

মংচিন থান বরগুনা প্রতিনিধি।।
বরগুনার তালতলীতে ধান ক্ষেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. কাদের মুন্সী (৬৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (০৫ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমখোলা গ্রামে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত কৃষক কাদের মুন্সী একই এলাকার মৃত নুর মোহাম্মাদ মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমখোলা গ্রামে বোরো ধান চাষ করেন একই গ্রামের সিদ্দিক ও নাসির মিয়া। তাদের ধানক্ষেতে ইঁদুর মারার জন্য বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখেন। এর পাশেই বোরো ধান চাষ করেন একই গ্রামের কৃষক কাদের মুন্সী। তিনি বিকাল চার টার দিকে তার ধান ক্ষেত খেত দেখতে গেলে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। সন্ধ্যায় বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত আট টার দিকে ধান খেতে পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদের পাশে তাঁর নিথরদেহ পাওয়া যায়। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে’র ক্ষত দেখা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, বৈদ্যুতিক ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা গেছেন। এঘতনা পর থেকে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতা কৃষক সিদ্দিক ও নাসির মিয়া পালাতক রয়েছেন।

নিহতের ছেলে তরিকুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা বিকালে ধান ক্ষেত দেখতে যান। পরে সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করি। একপর্যায়ে প্রতিবেশী সিদ্দিক ও নাসির মিয়ার ক্ষেতে পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে বাবার মরাদেহ দেখতে পাই।’

তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আইরিন আলম বলেন, ‘কৃষক কাদের মুন্সীকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে।’

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘নিহত কৃষক কাদের মুন্সীর মরাদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মগে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
###তাং০৬-০৪-২০২৫ইং
মংচিন থান
বরগুনা প্রতিনিধি
০১৭১৬৩১৩১২৭