বিডিআর বিদ্রোহ: জতীয় শহীদ সেনা দিবস আজ

প্রকাশিত: ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫

 

এ,কে,এম, মিজানুল হক (হোসেনপুর,কিশোরগঞ্জ):

২৫শে ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন, যা “শহীদ সেনা দিবস” হিসাবে পরিচিত। ২০০৯ সালের এই দিনে বিডিআর ( বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহ সংগঠিত হয়, যেখানে অনেক সাহসী সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ নির্মম, নৃশংস ও ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে রচিত হয় বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী পিলখানা বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের নামে একটি নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। বিদ্রোহীরা উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যা করে, যা দেশের সামরিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এক ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি করে।

এই বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন মানুষ শহিদ হন। তাঁদের আত্মত্যাগ বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হিসাবে বিবেচিত হয়।

এ বছর থেকে ২৫শে ফেব্রুয়ারী জাতীয়ভাবে শহিদ সেনা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় আজ সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সরকার, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও সাধারণ জনগণ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে আজ সকালে রাওয়া ক্লাবে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।

২৫শে ফেব্রুয়ারী শুধু শোকের দিন নয়, এটি একটি শিক্ষা-জাতীর নিরাপত্ত্বা ও সংহতির জন্য সঠিক নেতৃত্ব, সচেতনতা ও ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার প্রতিচ্ছবি। এই দিনে আমরা শহিদ সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।