ভৈরবে   ডিবি পুলিশ ব্যবসায়ী কে  ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে  ২ লাখ  টাকায়  দিলো মুক্তি 

প্রকাশিত: ১০:৪৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২৫

 

৮ এপ্রিল, এম এ হালিম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ভৈরবের মানিকদীতে দোকান থেকে   ব্যবসায়ী আমির হোসেন (৪০)    কে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে বুকে  অস্ত্র ঠেকিয়ে  ডিবি পুলিশ  তুলে নিয়ে  মাদক মামলার  ভয় দেখিয়ে  মারধোর করে   ৫ ঘন্টা  আটকে রেখে  অবশেষে ২লাখ টাকার বিনিময়ে  ছাড়া পেয়েছে   বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।  সরেজমিনে মানিকদী নতুন বাজারে গেলে  স্থানীয়রা জানান,সোমবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ  এসআই  দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল ইসমাইল সহ ৭/৮ জনের একটি টিম   আমির হোসেনের মুদি দোকানের একটু দুরে সাদা রংয়ের হায়েজ গাড়ী রেখে প্রথমে  এসআই দেলোয়ার দোকানে এসে জ্বালানি তেল আছে  কি না জানতে চাই। পরে  কনস্টেবল ইসমাইল সহ আরো ২ জন এসে দোকানদার আমির হোসেন কে তাদের সাথে যেতে বলে। এতে আমির হোসেন  তাদের সাথে  যেতে না চাইলে  তার বুকে শটগান ঠেকিয়ে  জোর করে একটি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে যায় । পরে  অটোরিক্সা থেকে তাদের হায়েজ গাড়ীতে তুলে নিয়ে  কুলিয়ারচর ও ভৈরবের বিভিন্ন  জায়গায় ঘুরিয়ে  আমির হোসেনের কাছে ৫ লাখ  টাকা  দাবি  করে। ৫ লাখ  টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দিবে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে এসআই দেলোয়ার ও ইসমাইল  মারধোর করে  এবং   টাকা না দিলে তাকে ১ হাজার পিচ ইয়াবা দিয়ে  মামলায় চালান  দিবে বলে ভয় দেখায়। পরে আমির হোসেনের নাম্বার থেকে তার বাড়ীতে ফোন করে তার আত্নীয় জামাল মিয়ার মাধ্যমে ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকার বিনিময়ে  ৫ ঘন্টা পর কুলিয়ারচর থেকে মুক্তি  পাই।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী আমির হোসেন জানান,দোকানে বসে দোকানদারী করছিলাম। বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ডিবির এসআই দেলোয়ার ও কনস্টেবল ইসমাইল সহ ৩ জন এসে আমাকে বলে তাদের সাথে যেতে হবে । আমি কারন জিজ্ঞেস করলে তারা আমাকে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে  বুকে শটগান ঠেকিয়ে  জোর করে তুলে নিয়ে যায় । পরে তাদের গাড়ীতে  তুলে  ৫ ঘন্টা  বিভিন্ন  জায়গায়  ঘুরিয়ে  আমাকে মারধোর করে ৫ লাখ  টাকা  দাবী করে । টাকা দিতে না চাইলে  আমাকে ১ হাজার পিচ ইয়াবা দিয়ে  মামলা দিবে বলে ভয় দেখায়। পরে  ধার কর্জ করে১ লাখ  ৯৩ হাজার টাকা দিয়ে  ছাড়া পেয়েছি । আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে  তাদের  বিচার চাই।

এ বিষয়ে জামাল মিয়া জানান, ঘটনা সত্য। আমি নিজে এসআই  দেলোয়ার  ও কনষ্টেবল ইসমাইলকে কে ১ লাখ  ৯৩ হাজার টাকা  দিয়ে  তাকে ছাড়িয়ে  এনেছি।  এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার  ইনচার্জ আজিজ আহমেদ জানান,এ ঘটনায়  পুলিশ সুপার মহোদয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত  করে সত্যতা পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোঃ হাসান চৌধুরী জানান, মাদকের বিরুদ্ধে  জিরো টলারেন্স । তবে এ ঘটনায়  তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া  গেলে  বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া  হবে।