ময়মনসিংহে আজহারীর ওয়াজ মাহফিল শেষে ২ শতাধিক ভুক্তভোগীর মোবাইল হারানো অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫
CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 50?

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ময়মনসিংহে আলোচিত ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে অসংখ্য মানুষের মোবাইল ফোন খোয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করছেন ভুক্তভোগীরা। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় অন্তত ২০০টি জিডি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, শনিবার নগরের সার্কিট হাউস মাঠে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের আয়োজন করে আল ইসলাম ট্রাস্ট নামের একটি সংগঠন। মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে বেলা দুইটা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বক্তব্য দেন মিজানুর রহমান আজহারী। মাহফিল সফল করতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন ইসলামি দল, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন তৎপর ছিল। মাহফিলের জন্য দুই লাখ বর্গফুটের প্যান্ডেল ছাড়াও ১৬ একর সার্কিট হাউস মাঠ ও আশপাশের পার্ক ও সড়কে মানুষের ঢল নামে। এ ছাড়া জিলা স্কুল মাঠ, জিলা স্কুল হোস্টেল মাঠ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠ, উমেদ আলী মাঠেও ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে।

ওয়াজ মাহফিলের জন্য মাঠসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ২২টি এলইডি পর্দার ব্যবস্থা করা হয়। তিনটি মেডিকেল ক্যাম্প, চার শতাধিক অজুখানা ও শৌচাগার এবং পর্যাপ্ত খাওয়ার পানির ব্যবস্থাও ছিল। প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ বিজিবি, বিপুলসংখ্যক র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার–ভিডিপির সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। মাহফিলে যোগ দিতে শুক্রবার রাত থেকেই আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে লোকজন মাহফিলস্থলে আসতে থাকেন। মানুষের সমাগমের মধ্যে চোরচক্র মুঠোফোন চুরি করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, বিশাল ওয়াজ মাহফিলে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হওয়ায় কিছু মুঠোফোন চুরি ও হারানোর ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত থানায় অন্তত ২০০ জিডি করা হয়েছে।

এদিকে, মাহফিলকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ নগরীর ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত চীন মৈত্রী সেতু বা শম্ভুগঞ্জ সেতুর উপর দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শেরপুর, নেত্রকোণা ও হালুয়াঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা এসব বাসগুলোও এ সেতু ও ময়মনসিংহ শহর হয়ে চলাচল করে। আজহারীর তাফসিরুল কুরআন মাহফিলকে কেন্দ্র করে শম্ভুগঞ্জ সেতু থেকেই এই রুটের যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। ঘুরিয়ে দেয়া বাসগুলোকে। এ সময় হেঁটে সেতু এলাকা পার হয়ে শহরে ঢোকে যাত্রীরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন ওই রুটের যাত্রীরা। অনেকেই এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।